দ্বারকেশ্বর নদের উপর পাতাকোলা সেতু সংস্কারের দাবী

24th June 2021 7:49 am বাঁকুড়া
দ্বারকেশ্বর নদের উপর পাতাকোলা সেতু সংস্কারের দাবী


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন দ্বারকেশ্বর নদীর উপর পাতাকোলা সেতুর ভগ্নপ্রায় অবস্থা। জায়গায় তৈরী হয়েছে বিশালাকার গর্ত। ফলে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড়সড় দূর্ঘটনা। 

     উল্লেখ্য, বাঁকুড়া শহরের পাশাপাশি দুর্গাপুর, রানীগঞ্জ, আসানসোলের মতো শিল্পাঞ্চরের সঙ্গে দক্ষিণ বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের পাশাপাশি বিষ্ণুপুর, জয়পুর, কোতুলপুর ও কলকাতার সঙ্গে এই এলাকার মানুষের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এই সেতু। এই সেতুর উপর দিয়ে এন.এইচ-৬০ ধরে সহজেই সড়ক পথে পৌঁছে যাওয়া যায় ঐ এলাকা গুলিতে। ফলে প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহনের বিপুল চাপ সহ্য করতে হয় প্রায় ৫০ বছরের এই পুরাণো সেতুটিকে। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর আর সেভাবে এই সেতু সংস্কার হয়নি বলেই অভিযোগ।  প্রতিদিন সেতুর উপর যেমন চাপ বাড়ছে, তেমনি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সেতুর উপর খানা খন্দের সংখ্যাও। ঐ সব খানা খন্দে জল জমে দূর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন অনেকে।

    টোটো চালক কার্তিক বাগদী, বাইক আরোহী লক্ষণ গরাই, তুষার চক্রবর্ত্তীরা বলেন, বাঁকুড়া শহরের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এই দ্বারকেশ্বর নদীর উপর এই সেতু। বিশালাকার গর্তের পাশাপাশি ভারী যানবাহন চলাচল করলেই এই সেতু কাঁপতে থাকে। ফলে চরম আতঙ্কের মধ্যেই এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। একই সঙ্গে দীর্ঘ সংস্কার না হওয়া এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এই ঘটনা ঘটছে বলে তারা দাবি করেন।  





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।